মোঃ শফিয়ার রহমান/বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গভীর রাতে পাইকগাছার কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড়ে বড় একটি ট্রাক কাদায় আটকে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ওই রুটে সব ধরনের বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির তথ্যমতে, খুলনা-পাইকগাছা রুটে গড়ে প্রতি ১২ মিনিট পরপর একটি করে বাস ছেড়ে যায়। প্রতিদিন প্রায় ১২০টি গাড়ি চলাচল করে এ রুটে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনগুলো নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না, ফলে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের ভোগান্তি বাড়ছে।পাইকগাছা ঢাকা পরিবহন স্ট্যান্ড কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, পাইকগাছা, কয়রা ও আশাশুনি উপজেলার মানুষ খুলনার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ সড়ক ব্যবহার করেন। কিন্তু এখন সড়কের এমন অবস্থা যে, আমাদের গাড়ি প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। দিনে অন্তত ৭০টি বড় বাস চলাচল করে, যেগুলো খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন রুটে যায়।এ রুট দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মাছ ও কাঁকড়া পরিবহন করা হয় জানিয়ে পাইকগাছা মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, পাইকগাছা ও কয়রার সাদা সোনা—মাছ ও কাঁকড়া—সারাদেশে পাঠাতে সময়মতো গাড়ি পৌঁছাতে পারছে না। দেরিতে বাজারে পৌঁছানোয় আমরা প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছি।স্থানীয় সাংবাদিক মিন্টু অধিকারী বলেন, কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটি মোড় এবং মুচিরপুকুর মোড়—এই তিনটি জায়গার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।বাসচালক ফারুক হোসেন বলেন, সকাল ৫টা থেকে রাস্তা বন্ধ ছিল। রাস্তায় আটকে পড়া গাড়ি উদ্ধার করে এবং মালিক সমিতি নিজ উদ্যোগে ইট-বালু ফেলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনায় বেলা ১১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।বাস-মালিক সমিতির সহসভাপতি অমরেশ কুমার মণ্ডল বলেন, আঠারোমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত অন্তত ছয়টি স্থানে রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। বিশেষ করে তালা থানা-ব্রিজ মোড়, কপিলমুনি ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটি মোড় এবং মুচিরপুকুর মোড়ে সমস্যা বেশি। সড়ক ও জনপদ বিভাগের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।এ বিষয়ে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) অতিরিক্ত প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, সড়কের বাঁক সোজা করার জন্য জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। এখন অর্থ ছাড় হয়েছে, খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।