আব্দুর রশিদ/আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামে স্বামী রিফাজুল ইসলামকে তালাক দেওয়ার পরও নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিকার সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি বিউটি। সাংবাদিকদের কাছে ভিডিও ও মৌখিক বক্তব্যে দিতে গিয়ে পাইকগাছার অজিত কুমার সরকারের কন্যা বিউটি খাতুন জানান, বড়দল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিফাজুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয় মুসলিম শরীয়া মোতাবেক। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী তার সাথে নিছক ঘটনা নিয়ে গন্ডগোল ও টর্চার করতো। সহ্য করতে না ২০২৪ সালে ৫ আগষ্টের পূর্বে আমি তাকে তালাক করি। সে সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে আমাদের মীমাংসা হলে আমরা আবার স্বামী-স্ত্রী হিসাবে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করি। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতে সে অন্য মেয়েকে নিয়ে থাকা শুরু করে। আমি স্কুলে জব করতাম, সেখানে গিয়েও আমার উপর হামলা করে, শিক্ষকদের সামনে আমাকে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলে। শরীফকে আমি চিনতাম না, সেই ফোনে তার সাথে কথা বলে আমার সাথে কথা বলাত। বড়দল শ্রমিক দলের কমিটি ভাঙ্গা নিয়ে রিফাজ একদিন ফোন করে আমাকে শরীফের সাথে কথা বলতে বলে। আমি ফোন করে হাফিজুল ভাইয়ের সাথে কথা বলতে বলি। এছাড়া তার সাথে আমার অন্যকোন যোগাযোগ বা সম্পর্ক ছিলনা। তার অত্যাচারে আমার মাথায় ১২টা সেলাই দিতে হয়েছিল। তার আচার আচরন ও দুর্ব্যবহারে আমি অতিষ্ট হয়ে গত ১৩ জুলাই তাকে পুনরায় তালাক দেই। এরপর থেকে সে নানা ভাবে হয়রানী করছে। পুলিশদ্বারা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মন্টু ভাই বিএনপি করে কিন্তু আ’লীগের সাথে লিয়াজোঁ করে অবৈধ আয় উপার্জন করে থাকে। তারা শরীফকে হেয় প্রতিপন্ন ও তাকে দল থেকে বহিস্কার করাতে ষড়যন্ত্র হিসাবে এসব মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করছে। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে দাবী জানান।