গোলাম কিবরিয়া পলাশ(ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের সিরতা ইউনিয়নের হাসান (২৪) নামের একজনকে ১৬ ঘন্টা আটকের পর এসআই রিপন এর রুম থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।পুলিশের এসআই রিপন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার অধীনে দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে, ময়মনসিংহ চরের সিরতা ইউনিয়নে এসআই রিপন হাফিজ উদ্দিন এর বাড়িতে যান। পরে বাড়িতে পাননি হাসানকে ২৬ জুলাই থানায় ডেকে আনেন হাসানকে পরে এসআই রিপনের রুমে ১৬ঘন্টা আটককে রেখে তার কাছ থেকে (১ লক্ষ ১৯ হাজার) টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এসআই রিপন ও ওসি’র শিবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাসান বলেন, আমি গায় বাছুর মিলে ৭টি গরু কিনে আনি। তারপর গত শনিবার ২৬ জুলাই রাত ১০টায় কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই রিপন ডেকে আনে থানায়। পরে সারা রাত থানা হিফাজতে রাখে পরের দিন দুপুর ২ঘটিকার দিকে এক লক্ষ উনিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।এ ঘটনায় হাসানের বাবা হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমিও সাথে থানায় গেলাম। পরে দারোগা রিপন আমাদের অনেক গালমন্দ করে। এমনকি চোরের অপবাদ দেয়। আমার ছেলেটা এখনো বিয়ে করেনি। মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মামলা ভয় দেখায় এসআই রিপন। আমার জীবনে এরকম একটি দিন দিখবো কখনো আশা করিনি।আমার ছেলেটা ভয়ে অনেক কাঁদলো। কিন্তু কোন সুরাহা হলো না। বার বার দারোগা রিপন এর সাথে দেখা করলে বলে (পাঁচ লক্ষ) টাকা নিয়ে আয় পরে দেখতেছি। রাতভর এরকম আলাপ আলোচনা হওয়ার পর কোন সুরাহা না পেয়ে। রাতে আমার ছেলেডাকে রাইখা বাড়ি যায়। পরের দিন সকাল সকাল চলে আসি থানায়। দারোগা রিপনকে ফোন দিয়ে দেখা করি। বলি স্যার এতো টাকা দিতে পারবো না। কিছু কম করেন। রিপন বলে ওসি স্যার থানায় নাই তিনি আসলে পরে জানাচ্ছি।এরকম ভাবে বার বার আসা যাওয়া শুরু করি কিন্তু কোন সুরাহা হচ্ছে না। বার বার একি কথা ওসি স্যার আসুক পরে দেখতেছি। পরে আনুমানিক দুপুর ২টায় ওসি শিবিরুল ইসলাম আসলো। পরে দারোগা ওসির সাথে পরামর্শ করে এসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে বললো। পরে অনেক কাকুতি মিনতি করে কোন রকমে রাজি হলো। (এক লক্ষ ২০ হাজার) টাকার বিনিময়ে রফাদফা শেষ করে আমার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরি।হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কোন মানুষের সাথেও ঝামেলা নাই, কেন আমাকে হয়রানি করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিলো ওই পুলিশ সদস্য, তা আমার জানা নেই।এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, ট্রিপল নাইনে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশ চলে আসেন। কিন্তু ওই ঘটনায় গরু কিনে আনার সততা আমরা পেয়েছি। তাই উনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়া বিষয়টি আমি কিছুই জানি না।